ফকির শুকুর সাঁই

আলোকচিত্র


কথিত আছে একবার কুষ্টিয়া শহরে বিরাট ধর্ম সভার আয়জন করা হয় ।তথায় বক্তা মওলানাদের ভিতর সুদুর কোলাকাতা থেকে একজন উচ্চশিক্ষিত মওলানা সুকুর মোহাম্মদ সাহেবকে দাওয়াত করে আনা হয়। ধর্ম সভার পরদিন জমায়েত ধর্ম সভা কমিটির সদস্যগণ তাঁকে চেপে ধরেন, ফকির লালন সাঁই এর আখড়ায় যেতে হবে। উদ্দেশ্য ফকির যে ধর্ম মত প্রচার করছে তা সঠিক কিনা। যেহেতু সে মসজিদেও যায় না মন্দিরেও নয়। মওলানা প্রথমে রাজী হলেন না। পরে সবার অনুরোধ আবদার রাখতে তাঁকে যেতে হল লালন সাঁই এর আখড়াতে। ভোলাই সাঁই আগত অথিদের যথারিতি বসতে দিয়ে সাঁই জি কে খবর জানালেন। কিছুখন পরে সাঁই জি পান মুখে দিয়ে বেরিয়ে আসলেন এবং মওলানা সাহেবের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলেন। মওলানা সাহেব তার পরিচয় দিলেন। এভাবে দুজনের মধ্য ২০/৩০ মিনিট মত বিনিময় হলো। তারপর মৃদু হেসে করমর্দন করে মওলানা সাহেব বিদায় নিলেন। পথে এসে সঙ্গিসাথি গন প্রশ্ন করলেন , হুজুর আপনারা দুজন জেভাবে কথা বললেন আমারা তো কিছু বুঝতে পারলাম না। মওলানা সাহেব উত্তর দিলেন আপনাদের বুঝে কাজ নাই। উনার পথে উনি ঠিক আছে আপনাদের পথেও আপনারা ঠিক থাকবেন। এই ঘটনার কিছুদিন পর মওলানা শুকুর মোহাম্মদ সাঁই জির হাতে বায়াত নেন ও শিস্যত্ত গ্রহন করেন। লালন সাঁই জি তাঁকে ফকির সাকের সাঁই নামকরন করেন। তৎকালীন যশোর জেলার অন্তর্গত শৈলকূপা থানাধীন চরাই গ্রামে সাঁই জির বহু ভক্ত বৃন্দ ছিল। সাঁই জি সেখানে দ্বিতীয় আখড়াবাড়ি নির্মাণ করে ফকির সাকের সাঁই কে প্রতিষ্ঠিত করেন ও তিনি নিজে মাঝে মধ্যে ঘোড়ায় চড়ে সেখানে যাতায়াত করতেন।