ফকির লালন সাঁই

আলোকচিত্র


মহাত্মা ফকির লালন সাঁই এর সঠিক জীবনী এখনো পর্যন্ত অজানা। জীবিত থাকা কালীন সময়ে তার সম্পর্কে লিখিত কোন নথি বা তথ্যের সন্ধান এখনো পাওয়া যায় নাই। তিনি নিজেও নিজের সম্বন্ধে কিছু বলে জান নাই বলে তার শিস্য ভক্তরা পরবর্তীতে বিভিন্ন জন কে জানিয়েছেন। তবে ১লা কার্ত্তিক ১২৯৭বাং ১৭ অক্টবর ১৮৯০ইং সালে তার তিরধান এর ১৫ দিন পর কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক হিতকারী পত্রিকাতে প্রথম লালন ফকির এর তিরধান এর খবর প্রচার করা হয়।

হিতকারী (পাক্ষিক, কুষ্টিয়া)

১৫ কার্তিক ১২৯৭/ ৩১ অক্টোবর ১৮৯০

লালন ফকিরের নাম এ অঞ্চলে কাহারও শুনিতে বাকী নাই। শুধু এ অঞ্চলে কেন, পূর্বে চট্টগ্রাম, উত্তরে রঙ্গপুর, দক্ষিণে যশোহর এবং পশ্চিমে অনেকদূর পর্যন্ত বঙ্গদেশের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বহুসংখ্যক লোক এই লালন ফকিরের শিষ্য; শুনিতে পাই ইঁহার শিষ্য দশ হাজারের উপর। ইঁহাকে আমরা স্বচক্ষে দেখিয়াছি; আলাপ করিয়া বড়ই প্রীত হইয়াছি। কুষ্টিয়ার অনতিদূরে কালীগঙ্গার ধারে সেওরিয়া গ্রামে ইঁহার একটি সুন্দর আখড়া আছে।আখড়ায়১৫/১৬ জনের অধিক শিষ্য নাই। শিষ্যদিগের মধ্যে শিতল ও ভোলাই নামক দুইজনকে ইনি ঔরসজাত পুত্রের ন্যায় স্নেহ করিতেন; অন্যান্য শিষ্যগনক তিনি কম ভালবাসিতেন না। শিষ্যদিগিরে মধ্যে তাহার ভালবাসার কোন বিশেষ তারতম্য থাকা সহজে প্রতীয়মান হইত না। আখড়ায় ইনি সস্ত্রীক বাস করিতেন; সম্প্রদায়ের ধর্ম মতানুসারে ইঁহার কোন সন্তান-সন্তুতি হয় নাই। শিষ্যগনের মধ্যেও অনেকের স্ত্রী আছে, কিন্তু সন্তান হয় নাই। এই আশ্চর্য ব্যাপার শুধু এই মহাত্মার শিষ্যগনের মধ্যে নহে বাউল-সম্প্রদায়ের অধিকাংশ স্থানে এই ব্যাপার লক্ষিত হয়। সম্প্রতি সাধু সেবাসেবা বলিয়া এই মতের এই নতুন সম্প্রদায় সৃষ্ট হইয়াছে। সাধুসেবা হইতে লালনের শিষ্যগনের না হউক নিজের মতো বিশ্বাস অনেকাংশে ভিন্ন ছিল। সাধুসেবা ও বাউলের দলে যে কলঙ্ক দেখিতে পাই, লালনের সম্প্রদায়ে সে প্রকার কিছু নাই। আমরা বিশ্বস্তসুত্রে জানিয়াছি সাধুসেবায় অনেক দুষ্টু লোক যোগ দিয়া কেবল স্ত্রীলোকোদিগের সহিত কুৎসিত কার্জ্যে লিপ্ত হয় এবং তাহাই তাহাদের উদ্দ্যেশ্য বলিয়া বোধ হয়। মতে মূলে তাহার সহিত ঐক্য থাকিলেও এ সম্প্রদায়ের তাদৃশ ব্যভিচার নাই। পরদার ইঁহাদের পক্ষে মহাপাপ। তবে প্রত্যেক সৎনিয়মের ন্যায় ইহারও অপব্যবহার থাকা অসম্ভব নহে। বাউল, সাধুসেবা ও লালনের মতে এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের কোন শ্রেণীতে যে গুহ্য ব্যাপার চলিয়া আসিতেছে লালনের দলে তাহাই প্রচলিত থাকায় ইহাদের মধ্যে সন্তান জননের পথ এককালে রুদ্ধ। “শান্ত-রতি” শব্দের বইস্নবশাস্ত্রে যে উৎকৃষ্ট ভাব বুঝায়, ইহারা তাহা না বুঝিয়া অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ইন্দ্রিয় সেবায় রত থাকে। এই জঘন্য ব্যাপারে এ দেশ ছারেখারে যাইতেছে। তৎসম্বন্ধে পাঠকবর্গকে বেশি কিছু জানাইবার স্পৃহা নাই।

শিষ্যদিগের ও তাহার সম্প্রদায়ের এই মত ধরিয়া লালন ফকিরের মত হইতে পারে না। তিনি এ সকল নীচ কার্য্য হইতে দূরে ছিলেন ও ধর্ম-জীবনে বিলক্ষণ উন্নত ছিলেন বলিয়া বোধ হয়। মিথ্যা জুয়াচুরিকে লালন বড়ই ঘৃণা করিতেন। নিজে লেখপড়া জানিতেন না; কিন্তু তাহার রচিত অসংখ্যগান শুনিলে তাহাঁকে পরম পণ্ডিত বলিয়া বোধ হয়। তিনি কোন শাস্ত্রই পড়েন নাই; কিন্তু ধর্মালাপে তাহাঁকে বিলক্ষণ শাস্ত্রবিদ বলিয়া বোধ হইত। বাস্তবিক ধর্মসাধনে তাহার অন্তদৃস্টি খুলিয়া যাওয়ায় ধর্মের সারসত্ত্ব তাঁহার জানিবার অবশিষ্ট ছিল না। লালন নিজে কোন সাম্প্রদায়িক ধর্মাবলম্বী ছিলেন না; অথচ সকল ধর্মের লোকেই তাঁহাকে আপন বলিয়া জানিত। মুসলমানদিগের সহিত তাঁহার আহার-ব্যবহার থাকায় অনেকে মুসলমান মনে করিত; বৈষ্ণবধর্মের মত পোষণ করিতে দেখিয়া হিন্দুরা ইহাকে বৈষ্ণব ঠাওরাইত। জাতিভেদ মানিতেন না, নিরাকার পরমেশ্বরে বিশ্বাস দেখিয়া ব্রাহ্মদিগের মনে ইহাকে ব্রাহ্মধর্ম্মাবলম্বী বলিয়া ভ্রম হওয়া আশ্চর্য্য নহে; কিন্তু ইহাকে বলিবার উপায় নাই; ইনি বড় গুরুবাদ পোষণ করিতেন। অধিক কি ইহার শিষ্যগন ইহার উপসনা ব্যতিত আর কাহারও উপাসনা শ্রেষ্ঠ বলিয়া মানিত না। সর্বদা “সাঁঞ” এই কথা তাহাদের মুখে শুনিতে পাওয়া যায়। ইনি নোমাজ করিতেন না। সুতারাং মুসলমান কি প্রকারে বলা যায়? তবে জাতিভেদবিহীন অভিনব বৈষ্ণব বলা যাইতে পারে; বৈষ্ণবধর্মের দিকে ইহার অধিক টান। শ্রীকৃষ্ণের অবতার বিশ্বাস করিতেন। কিন্তু সময় সময় যে উচ্চ-সাধনের কথা ইহার মুখে শুনা যাইত, তাহাতে তাঁহার মত ও সাধনা সম্বন্ধে অনেক সন্দেহ উপস্থিত হইত। যাহা হউক তিনি একজন পরম ধার্ম্মিক ও সাধু ছিলেন, তৎসম্বন্ধে কাহারও মতদ্বৈধ নাই। লালন ফকির নাম শুনিয়াই হয়ত অনেকে মনে করিতে পারেন ইনি বিষয়হীন ফকির ছিলেন; বস্তুতঃ তাহা নহে; ইনি সংসারী ছিলেন; সামান্য জোতজমা আছে; বাটিঘরও মন্দ নহে। জিনিষপত্রও মধ্যবর্ত্তী গৃহস্থের মত। নগদ টাকা প্রায় ২ হাজার বলিয়া মরিয়া যান। ইঁহার সম্পত্তির কতক তাঁহার স্ত্রী , কতক ধর্মকন্যা, কতক শীতলকে ও কতক সৎকার্য্যে প্রয়োগের জন্য ইনি একখানি ফরমমাত্র করিয়া গিয়াছেন। ইনি নিজে শেশকালে কিছু উপায় করিতে পারিতেন না। শিষ্যেরাই ইঁহাকে যথেষ্ট সাহায্য করিত। বৎসর আন্তে শীতকালে একটি ভান্ডারা (মহোৎসব ) দিতেন। তাহাতে সহস্রাধিক শিষ্যগন ও সম্প্রদায়ের লোক একত্রিত হইয়া সংগীত ও আলোচনা হইত। তাহাতে তাঁহার ৫/৬ শত টাকা ব্যয় হইত।

ইহার জীবনী লিখিবার কোন উপকরণ পাওয়া কঠিন। নিজে কিছু বলিতেন না। শিষ্যেরা হয়ত তাঁহার নিষেধক্রমে না হয় অজ্ঞতাবশতঃ কিছুই বলিতে পারে না। তবে সাধারণে প্রকাশ লালন ফকির জাতীতে কায়েস্থ ছিলেন। কুষ্টিয়া অধিন চাপড়া ভৌমিক বংশীয়রা ইঁহার জাতি। ইঁহার কোন আত্মীয় জীবিত নাই। ইনি নাকি তীর্থগমনকালে পথে বসন্তরোগে আক্রান্ত হইয়া সঙ্গীগণ কতৃক পরিত্যক্ত হয়েন। মুমূর্ষু অবস্থায় একটি মুসলমানের দয়া ও আশ্রয়ে জীবনলাভ করিয়া ফকির হয়েন। ইঁহার মুখে বসন্তরোগের দাগ বিদ্যমান ছিল। ইনি ১১৬ বৎসর বয়সে গত ১৭ই অক্টোবর শুক্রবার প্রাতে মানবলীলা সম্বরণ করিয়াছেন। এই বয়সেও তিনি অশ্বারোহন করিতে দক্ষ ছিলেন এবং অশ্বারোহনেও স্থানে স্থানে যাইতেন। মৃত্যুর প্রায় একমাস পূর্ব্ব হইতে ইঁহার পেটের ব্যারাম হয় ও হাত পায়ের গ্রন্থি জলস্ফীত হয়। দুধ ভিন্ন পীড়িত অবস্থায় অন্য কিছু খাইতেন না। মাছ খাইতে চাহিতেন। পীড়িতকালেও পরমেশ্বরের নাম পুর্ব্ববৎ সাধন করিতেন; মাঝে মধ্যে গানে উন্মত্ত হইতেন। ধর্ম্মের আলাপ পাইলে নববলে বলীয়ান হইয়া রোগের যাতনা ভুলিয়া যাইতেন। এই সময় রচিত কয়েকটি গান আমাদের নিকটে আছে। অনেক সম্প্রদায়ের লোক ইঁহার সহিত ধর্ম্মালাপ করিয়া তৃপ্ত হইতেন। মরণের পূর্ব্ব রাত্রিতেও প্রায় সমস্ত সময় গান করিয়া রাত্রি পাঁচটার সময় শিষ্যগঙ্কে বলেন “আমি চলিলাম”। ইহার কিয়ৎকাল পরে শ্বাসরোধ হয়। মৃত্যুকালে কোন সম্প্রদায়ী মতানুসারে তাঁহার অন্তিমকার্য্য সম্পন্ন হওয়া তাঁহার অভিপ্রায় ও উপদেশ ছিল না। তজ্জন্য মোল্লা বা পুরোহিত কিছুই লাগে নাই। গঙ্গাজল হরে নাম নামও দরকার(হয়) নাই। হরিনাম কীর্ত্তন হইয়াছিল। তাঁহারই উপদেশ অনুসারে আখড়ার মধ্যে একটি ঘরের ভিতর তাঁহার সমাধি হইয়াছে। শ্রাদ্ধাদি কিছুই হইবে না।বাউল সম্প্রদায় লইয়া মহোৎসব হইবে,তাহার জন্য শিষ্যমন্ডলী অর্থ সংগ্রহ করিতেছে। শিষ্যদিগের মধ্যে শীতল, মহরম সা, মানিক সা ও কুধু সা প্রভৃতি কয়েকজন ভাল লোক আছেন। ভরসা করি, ইঁহাদের দ্বারা তাঁহার গৌরব নষ্ঠ হইবে না, লালন ফকিরের অসংখ্য গান সর্ব্বত্রে সর্ব্বদাই গীত হইয়া থাকে। তাহাতেই তাঁহার নাম, ধর্ম, মত ও বিশ্বাস সুপ্রচারিত হইবে। তাঁহার রচিত একটি গান নিন্মে উদ্ধৃত করা গেল।

সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে,

লালন ভাবে জাতের কিরূপ দেখলাম না এই নজরে।

কেউ মালা কেউ তছবি গলায়

তাইতে যে জাত ভিন্ন বলায়,

যাওয়া কিম্বা আসার বেলায়

জাতের চিহ্ন রয় কার রে।।

যদি ছুন্নত দিলে হয় মুসলমান,

নারীর তবে কি হয় বিধান।

বামন চিনি পৈতা প্রমান।

বামনি চিনি কিসে রে।।

জগৎ বেড়ে জেতের কথা,

লোকে গৌরব করে যথাতথা,

লালন সে জেতের ফাতা

ঘুচিয়েছে সাধ বাজারে।।

তথ্য সুত্রঃ আবুল আহসান চৌধুরীঃ লালনসমগ্র।



তথ্যসূত্ৰ

দীর্ঘ ২৫ বৎসর যাবত ফকির লালন সাঁই এর পরম্পরা ৫ হাজারেরও অধিক সাধু ফকির তথ্য, চিত্র, ভিডিও এবং সাক্ষাৎকার গ্রহন করেছেন জয়ন্ত হাওলাদার।
বই
1. বসন্তকুমার পাল: মহাত্মা লালন ফকির। বঙ্গীয় পুরাণ পরিষদ, শান্তিপুর-নদীয়া, ১৩৬২।
2. ক্ষিতিমোহন সেন: বাংলার বাউল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ১৯৫৪।
3. উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য: বাংলার বাউল ও বাউল গান। ওরিয়েন্ট বুক কোম্পানী, কলকাতা, ১৩৬৪।
4. আবুল আহসান চৌধুরীঃ লালনসমগ্র। পাঠক সমাবেশ। ঢাকা। ফেব্রুয়ারি ২০০৮
5. আনোয়ারুল করীম: বাউল কবি লালন শাহ। কুষ্টিয়া মে, ১৯৬৩। দ্বি-স: কুষ্টিয়া, জুলাই ১৯৬৬।
6. Dr. Harunuzzaman: Songs Of Lalon. Oitijhya. Dhaka. February 2006
7. সুবোধ চক্রবর্তী: বাঙলার বাউল লালন ফকির। আদিত্য প্রকাশলয়, কলকাতা, শ্রাবণ ১৩৯৩।
8. আবুল আহসান চৌধুরীঃ লালন সাঁই ও উত্তরসুরী। রোদেলা প্রকাশনী। ঢাকা। ফেব্রুয়ারি ২০১১
9. Haroonuzzaman: Lalon /লালন (Selected Lalon Songs Tran. into English)। অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্স। ঢাকা।
10. সুধীর চক্রবর্তী: গভীর নির্জন পথে। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড, কলকাতা, জুলাই ১৯৮৯।
11. খোন্দকার রফিউদ্দিনঃ ভাবসঙ্গীত। র‍্যামন। ঢাকা। জানুয়ারি ১৯৬৫। ৩য় সঃ ২০০৬
12. ফকির আনোয়ার হোসেনঃ লালন সঙ্গীত [তিন খণ্ড] । কাশবন প্রকাশন। ঢাকা।
13. সুধীর চক্রবর্তী: ব্রাত্য লোকায়ত লালন। পুস্ত্মক বিপণী, কলকাতা, ডিসেম্বর ১৯৯২।
14. জসীমউদ্‌দীন: বাউল। পলাশ প্রকাশনী, ঢাকা, ১৯৯৯।
15. ফরহাদ মজহার: সাঁইজীর দৈন্য গান। চিন্তা প্রকাশনা, ঢাকা, ফাল্গুন ১৪০৬ (ফেব্রুয়ারি ২০০০)।
16 . সুধীর চক্রবর্তী: বাউলফকির কথা। লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র, কলকাতা, মার্চ ২০০১।
17. ড. আবদুল ওয়াহাবঃ লালন-হাসন : জীবন-কর্ম-সমাজ। বাংলা একাডেমী। ঢাকা।
18. ফরহাদ মজহারঃ ভাবান্দোলন। মাওলা ব্রাদার্স। ঢাকা। ফেব্রুয়ারি ২০০৮
19. শক্তিনাথ ঝা: বস্তুবাদী বাউল। লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র, কলকাতা, ১৯৯৯।
20. আবুল আহসান চৌধুরী: লালন সাঁইয়ের সন্ধানে। পলল প্রকাশনী, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
21. Brother James: Songs of Lalon. The University press limited. Dhaka. 1987.
22. শক্তিনাথ ঝা: বাউল-ফকির ধ্বংসের আন্দোলনের ইতিবৃত্ত। সুবর্ণরেখা, কলকাতা, ১৪০৮।
23. শক্তিনাথ ঝাঃ লালন সাঁই এর গান। কবিতা প্রকাশ। কলকাতা ২০০5
24.ওয়াকিল আহমেদঃ লালনগীতি সমগ্র। গতিধারা। ঢাকা। ফেব্রুয়ারি ২০০৪
25. আহমদ হোসাইন: বাউল-তত্ত্ব। কুষ্টিয়া, ১৯৬১।
26. ইন্দিরা দেবী: বাংলার সাধক বাউল। কলকাতা, ১৯৬২।
27. সোমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলার বাউল: কাব্য ও দর্শন। কলকাতা, ১৯৬৪।
28. মুহম্মদ আবু তালিব: লালন শাহ ও লালনগীতিকা। ১ম খন্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, আগষ্ট ১৯৬৮
29. মুহম্মদ আবূ তালিব: লালন শাহ ও লালনগীতিকা। ২য় খন্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, আগষ্ট ১৯৬৮
30. মুন্সী আব্দুল মান্নানঃ লালন শাহ্‌- বিবেচনা পুনঃবিবেচনা। গতিধারা। ঢাকা। ডিসেম্বর ১৯৯৬
31. মুহম্মদ আবূ তালিব: লালন পরিচিতি। ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৯৬৮।
32. আবু ইমরা হোছাইন: জওয়াবে ইবলিস। কুষ্টিয়া, ১৯৬৮।
33. এ.এইচ.এম. ইমামউদ্দীন: বাউল মতবাদ ও ইসলাম। কুষ্টিয়া, ১৯৬৯।
34. খোন্দকার রিয়াজুল হক: লালন শাহের পূণ্যভূমি: হরিশপুর। যশোর, ১ কার্তিক ১৩৭৯।
35. ড. নুরুল ইসলামঃ লালন পদ : আমার দৃষ্টি ভঙ্গি। র‌্যামন পাবলিশার্স। ঢাকা।
36. আহমদ শরীফ: বাউলতত্ত্ব। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ফাল্গুণ ১৩৭৯ (ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩)।
37. Rabindranath Thakur: Songs of Lalon. University Press. February, 1987
38. আবুল আহসান চৌধুরী: কুষ্টিয়ার বাউলসাধক। কুষ্টিয়া, পৌষ ১৩৮০ (জানুয়ারি ১৯৭৪)।
39. আবুল আহসান চৌধুরী সম্পাদিত: লালন স্মারকগ্রন্থ। বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ঢাকা, (মার্চ ১৯৭৪)।
40. খোন্দকার রিয়াজুল হক সম্পাদিত: লালন সাহিত্য ও দর্শন। মুক্তধারা, ঢাকা, আগষ্ট ১৯৭৬।
41. তুষার চট্ট্রোপাধ্যায় সম্পাদিত: লালন স্মরণিকা। চাকদহ কলেজ, চাকদহ-নদীয়া, ১৯৭৬।
42. আনোয়ারুল করীম: ফকির লালন শাহ। লালন একাডেমী, কুষ্টিয়া, ফাল্গুণ ১৩৮২ (মার্চ ১৯৭৬)।
43. মনিরউজ্জামান: লালনজীবনী ও সমস্যা। কুষ্টিয়া, অক্টোবর ১৯৭৮ (কার্তিক ১৩৮৫)।
44. মুহম্মদ আবদুল বাতেন: বাছাই গান চেনা অচেনা লালন। বিশ্বসাহিত্য ভবন। ঢাকা।
45. মোঃ সোলায়মান আলী সরকার: বাউলদর্শন। রাজশাহী, ডিসেম্বর ১৯৮৬ (অগ্রহায়ণ ১৩৯৬)।
46. সনৎকুমার মিত্র: লালন ফকির : কবি ও কাব্য। সাহিত্য প্রকাশ, কলকাতা, ঝুলনযাত্রা ১৩৯৬।
47. ড. মোঃ আবদুল করিম মিঞাঃ বাউল-লালন পরিভাষা। নবযুগ প্রকাশনী। ঢাকা।
48. মোমেন চৌধুরীঃ লালন বিষয়ক রচনাপঞ্জি। বাংলা একাডেমী।
49. Anwarul Karim: The Bauls of Bangladesh. Lalon Academy, Kushtia, January 1980.
50. মুহম্মদ আবদুল হাই: লালন শাহ ফকির। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ঢাকা, মে ১৯৮০ (জ্যৈষ্ঠ ১৩৮৭)।
51. এস.এম. লুৎফর রহমান: লালন শাহ্ঃ : জীবন ও গান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী নভেম্বর ১৯৮৩ (
52. আনোয়ারউল করিম: লালনের গান। লালন একাডেমী, কুষ্টিয়া, ১৯৮৪।
53. শান্তিময় ঘোষাল: লালন ফকির। কলকাতা, ২৫ বৈশাখ ১৩১১ (৮মে ১৯৮৪)।
54. লুতফর রহমানঃ লালন জিজ্ঞাসা। সেপ্টেম্বর ১৯৮৪
55.Charles Capwell: The Music of the Bauls of Bengal. Kent State University Press, U.S.A. 1986.
56. নিগূরানন্দঃ লালন ফকিরের আয়না। সাহিত্যম। কলকাতা।
57. ড. তপন বাগচীঃ প্রসঙ্গ: হাছন, লালন, রাধারমন
58. Pranab Bandyopadhyay: Bauls of Bengla. Firma KLM Pvt. Ltd., Calcutta, 1989.
59. Professor Anwarul Karim: Baul Poet Lalal Shah. Kushtia. July 1966.
60. Alamgir Jalil: Mystic songs of Lalon. Sadar prokashoni. Dhaka.
61. June Medaniel: The Madness of the Saints. Chicago, 1989.
62. R.M. Sarkar: Bauls of Bengal. New Delhi, 1990.
63. নলিনীরঞ্জন পন্ডিত: বাঙ্গালার বাউল সম্প্রদায়। (কলকাতা, ১৩২৮)
64. সুলতানা আফরোজা জাতিভেদ প্রথা ও বাংলাদেশের বাউলসমাজ। ফোকলোর রিসার্চ ইন্সটিটিউট, কুষ্টিয়া, ১৯৮৮
65. মতিন রায়হানঃ লালন শাহ্‌। বিজ্ঞান একাডেমী। ঢাকা।
66. ড. এস. এম. লুৎফর রহমানঃ লালন জিজ্ঞাসা। কাশবন প্রকাশন। ঢাকা।
67. আবুল আহসান চৌধুরী: লালন শাহ। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, মাঘ ১৩৯৬ (ফেব্রুয়ারি ১৯৯০)
68. Tripti Brahma: Lalon: His Melodies. Calcutta, 15 August 1990. .
69. ওয়ালিউল বারী চৌধুরী সম্পাদিত: লালন মৃত্যুশতবর্ষ স্মারকপত্র। কুষ্টিয়া, কার্তিক ১৩৯৭ (অক্টোবর ১৯৯০)।
70 .সুশান্ত হালদার সম্পাদিত: লালন-প্রয়াণ শতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ। নদীয়া, ১ কার্তিক ১৩৯৭ (১৯ অক্টোবর ১৯৯০)।
71. মনজুরে মওলাঃ রবীন্দ্রনাথ ও লালন। মূর্ধণ্য। ঢাকা।
72. হায়াৎ মামুদ: লালন সাঁই। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ১৯৯১।
73. Ann-Helene Trottier: Fakir (La Quete d’un Baul Musulman). L’Harmattan, Paris, France, 2000.
74. আবুল আহসান চৌধুরী: মনের মানুষের সন্ধানে। ঢাকা, ফাল্গুন ১৪০১ (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫)।
75. আবুল আহসান চৌধুরী: সমাজ সমকাল ও লালন সাঁই। সূচনা কালচারাল সেন্টার, কলকাতা, কার্তিক ১৪০৩ (অক্টোবর ১৯৯৬)।
76. আবুল কাশেম মুরাদঃ নির্বাচিত লালন সঙ্গীত (১০০)।সদর প্রকাশনী। ঢাকা।
77. পদ্মনাভ অধিকারীঃ মহর্ষি লালন সাঁই। বিভাস। ঢাকা।
78. অনুদাস (স্বপন বিশ্বাস): লালনের সাঁইজী। লোকনাথ বুক ডিস্ট্রিবিউটর, হাওড়া, (সেপ্টেম্বর ১৯৯২)।
79. মুহাম্মদ, সিরাজ উদ্দিন: লালনতত্ত্বের ভূমিকা। প্রথম খন্ড। আল-ইকরা প্রকাশনী, কুষ্টিয়া, ১৯৯৭ (১৪০৪)।
80. মোহাম্মদ এন্তাজ উদ্দিনঃ লালন সঙ্গীতে আত্মদর্শন। লেখকের নিজ প্রকাশনা। ঢাকা। জানুয়ারি ১৯৯৯
81. শক্তিনাথ ঝা: ফকির লালন সাঁই: দেশ কাল এবং শিল্প। সংবাদ, কলকাতা, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫।
82. কান্তি গুপ্ত ও অন্যান্য সম্পাদিত। মরমিয়া লালন। নিখিল ভারত বঙ্গসাহিত্য সম্মেলন। কলকাতা, এপ্রিল ১৯৯২
83. Surathchandra Chakraborty: Bauls the Spiritul Vikings. Firma KLM Ltd. Catcutta, 1980.
84. Z.A. Tofayell: Lalon Shah and the Lyrics of Padma. Dhaka, 1968. .
85. মোমেন চৌধুরী: লালনবিষয়ক রচনাপঞ্জি। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, আষাঢ় ১৪০২ (জুন ১৯৯৫)।
86. কুমারেশ ব্রহ্ম সংকলিত (তৃপ্তি ব্রহ্ম সম্পাদিত): মরমি ব্যক্তিত্ব লালন ফকির। সন্দীপ, কলকাতা, আগষ্ট ১৯৯৪।
87. সুধীর চক্রবর্তী: লালন। প্যাপিরাস, কলকাতা, শ্রাবণ ১৪০৫ (আগষ্ট ১৯৯৮)।
88. এস এম লুৎফর রহমান: লালন শাহ: জীবন ও গান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী। ঢাকা।
89. তৃপ্তি ব্রহ্ম: লালন পরিক্রমা। ফার্মা কে. এল. এম. প্রা. লি., কলিকাতা, প্রথম খন্ড-শিব চতুর্দশী ১৩৯৩/দ্বিতীয় খন্ড-দোলপূর্ণিমা ১৪০০ (মার্চ ১৯৯৪)/তৃতীয় খন্ড-মহালয়া ১৪০১ (অক্টোবর ১৯৯৪)/চতুর্থ খন্ড-জন্মাষ্মী ১৪০১ (আগষ্ট ১৯৯৪)।
90 মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানঃ সাধক কবি লালন : কালে উত্তরকালে। বাংলা একাডেমী। ঢাকা।
91. ড. এস. এম. লুৎফর রহমানঃ লালন গীতি চয়ন (দুই খন্ড)। কাশবন প্রকাশন। ঢাকা।
92. (লালন-তত্ত্ব)। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, আষাঢ় ১৪০১ (জুন ১৯৯৪)।
93. খোন্দকার রিয়াজুল হক সম্পাদিত: লালন মৃত্যুশতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থ। লালন পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদ, ঢাকা, (জুলাই ১৯৯২)।
94. আবুল আহসান চৌধুরী: লালন সাঁই: প্রসঙ্গ ও অনুষঙ্গ। সূচীপত্র, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০০৪।
95. মানিক সরকার: লালন ফকির: তাঁর গান ও মেলা। লোককৃতি প্রকাশন, কলকাতা, কার্তিক ১৩৯৮ (১৯ অক্টোবর ১৯৯১)।
96. সুধীর চক্রবর্তী সম্পাদিত: বাংলার বাউলফকির। পুস্তক বিপণী, কলকাতা, ডিসেম্বর ১৯৯৯।
97. সনৎকুমার মিত্র সম্পাদিত: বাউল লালন রবীন্দ্রনাথ। লোকসংস্কৃতি গবেষণা পরিষদ, কলকাতা। ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫।
98. R.M. Sarkar: Bauls of Bengal: In the Quest of Man of the Heart. Gian Publishing House, New Delhi, 1990.
99. সোলায়মান আলী সরকার: বাংলার বাউলদর্শন। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, পৌষ ১৩৯৯ (ডিসেম্বর ১৯৯২)।
100. সোলায়মান আলী সরকার: লালন শাহের মরমি দর্শন। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, আষাঢ় ১৪০১ (জুন ১৯৯৪)।
101. Sudhansumohan Bandyopadhyay: Baul Songs of Bengal. United Writers, calcutta. 1976.
102. খোন্দকার রিয়াজুল হক: মরমী কবি লালন শাহ: জীবন ও সঙ্গীত। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, আষাঢ় ১৪০৬ (জুন ১৯৯৯)।
103. বিকাশ চক্রবর্তী: বাউলজীবনের সমাজতত্ত্ব। প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স, কলকাতা, ফেব্রুয়ারি ২০০৩।
104. সুনীতিকুমার পাঠক: বাউল খোঁজে মনের মানুষ। অর্পিতা প্রকাশনী, কলকাতা, ১৯৯৭।
105. করুণাপ্রসাদ দে: বাউল পদ্মার বাঁকে বাঁকে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লালন মেলা সমিতি, নদীয়া, বৈশাখ ১৪১৩ (মে ২০০৬)।
106. পরেশ কর্মকার: লালন গান ও মানবতাবাদ। জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন ট্রাষ্ট, কলকাতা, ২০০৪।
107. মুস্তফা জামান আব্বাসীঃ লালন যাত্রীর পশরা। মুক্তদেশ। ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
১৬৫. মুহম্মদ মনসুর উদ্দীনঃ লালন ফকিরের গান। ১৯৪৮
108. মুহম্মদ মনসুর উদ্দীনঃ Folksongs of Lalan Shah. বাংলা একাডেমি। ঢাকা। ১৯৭৪।
109. মুহম্মদ মনসুর উদ্দীনঃ Folksongs of Lalan Shah. হাসি প্রকাশনালয়। ঢাকা। ১৯৭৯।
110. মুহম্মদ মনসুর উদ্দীনঃ লালন গীতিকা। ঢাকা। ১৯৪৮
111. শ্রী মতিলাল দাশঃ লালন গীতিকা। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৮।
112. এনামুল হকঃ বঙ্গে সূফী প্রভাব। এশিয়াটিক সোসাইটি। ঢাকা। ১৯৭৫।
113. মুহম্মদ মনসুর উদ্দীনঃ হারামণি (পঞ্চম খন্ড), প্রথম সংস্করণঃ বৈশাখ ১৩৬৮, দ্বিতীয় সংস্করণঃ মাঘ ১৩৯০।
114. Deben Bhattacharya : The Mirror of the Sky. UNESCO. May 1999
115. তপনকুমার বিশ্বাসঃ লোককবি লালন। নদীয়া। জানুয়ারি ২০০০।
116. খোন্দকার রিয়াজুল হকঃ লালন সঙ্গীত চয়ন। ঝিনাইদহ। ২০শে জুন, ১৯৮৯।
117. সুব্রত রুদ্রঃ লালনের গৌরগান। অরুণা প্রকাশনী। কলকাতা। ১৯৯৩।
118. জহর আচার্জিঃ গানে গানে ফকির লালন। রাজ-কুসুম প্রকাশনী। ত্রিপুরা। ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯।
119. মোঃ জামাল উদ্দিন বাউলঃ বাংলার বাউল লালন সাঁইর গান। নোয়াখালি। ৭ই আষাঢ় ১৩৭৪।
120. M. Mizanur Rahman : Myriad Miracle. Dhaka. January 1987.
121. Nanigopal Debdas : Songs of Lalan Fakir. Calcutta. November 1997.
122. হারামনি ১ম খণ্ড, মুনসুর উদ্দিন-কলিকাতাঃ বৈশাখ ১৩৩৭
123. হারামনি ২য় খণ্ড, মুনসুর উদ্দিন-কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ঃ১৯৪২
124. হারামনি ৩য় খণ্ড, মুনসুর উদ্দিন-ঢাকা , ১৯৪৮
125. হারামনি ৪থ খণ্ড, মুনসুর উদ্দিন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ঃ১৯৫৯
126. হারামনি ৫ম খণ্ড, মুনসুর উদ্দিন-ঢাকা , ১৯৬১
127. হারামনি ৬স্ত খণ্ড, মুনসুর উদ্দিন-ঢাকা , ১৯৫৮
128. হারামনি ৭ম খণ্ড, মুনসুর উদ্দিন-ঢাকা, বাংলা একাডেমী ১৯৬৩
129.অন্নদাশঙ্কর রায়: লালন ও তার গান। শৈব্যা পুস্তকালয়, কলকাতা, বুদ্ধপুর্ণিমা ১৩৮৫। দ্বি-মু: ফেব্রুয়ারি ১৩৮৭
130. City of Mirrors-Songs of Lalan Sai, Carol Salomon